Cell and Cell Organelle । কোষ ও কোষের গঠন
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান প্রথম পত্রে কোষ ও কোষের গঠন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমি এই অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ন তথ্যগুলো তুলে ধরবো যা তোমাদের পরীক্ষায় উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি। একই সঙ্গে এই অধ্যায়ের বিগত পাবলিক ও ভর্তি পরীক্ষার আলোকে বহুনির্বাচনি পরীক্ষা দিতে পারবে। প্রথমেই জেনে নেই কোষ…
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান প্রথম পত্রে কোষ ও কোষের গঠন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমি এই অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ন তথ্যগুলো তুলে ধরবো যা তোমাদের পরীক্ষায় উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি। একই সঙ্গে এই অধ্যায়ের বিগত পাবলিক ও ভর্তি পরীক্ষার আলোকে বহুনির্বাচনি পরীক্ষা দিতে পারবে।
প্রথমেই জেনে নেই কোষ কী?
জীবদেহের গঠন ও কাজের একককে কোষ বলে।
কোষের গবেষণার সাথে দুইজন বিজ্ঞানীর অবদান হলো:
রবার্ট হুক – ১৬৬৫ সালে কোষ আবিষ্কার করেন এবং মৃতকোষ পর্যবেক্ষণ করেন।
অ্যান্টনি ভন লিউয়েনহুক – অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন, ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেন, জীবিত কোষ পর্যবেক্ষণ করেন।
কোষ ও কোষের গঠন সম্পর্কে কিছু তথ্য
- জীববিদ্যার যে শাখায় কোষ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে সাইটোলজি (Cytology) বা কোষবিদ্যা বলে।
- Robert Hooke (১৬৩৫-১৭০৩) ১৬৬৫ সালে নামকরন করেন।
- পাখির ডিম একটিমাত্র কোষ দিয়ে গঠিত।
- উটপাখির ডিম সবচেয়ে বড় (১৭ * ১.২৫ cm)।
- Cell শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ Cellula হতে
- Cell অর্থ ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ।
- রবার্ট হুক মৃত কোষ দেখেছিলেন।
- পরে ডাচ বিজ্ঞানী অ্যান্টন ভন লিউয়েন হুকই প্রথম কোষ প্রাচীর ছাড়াও ভেতরে পূর্ণাঙ্গ কোষীয় দ্রব্যসহ জীবিত কোষ পর্যবেক্ষণ করেন।
- কোষ মতবাদ প্রচারক জার্মান উদ্ভিদবিদ জ্যাকব স্লেইডেন এবং প্রাণিবিদ থিওডর সোয়ান।
- বহু নিউক্লিয়াসযুক্ত প্রস্থপর্দাবিহীন কোষকে সিনোসাইট বলে।
- প্রায় সব প্রাণিকোষে, বিশেষ করে বৃক্ক কোষ, অস্ত্রের আবরণী কোষেও লাইসোসোম আছে।
- RBC-তে লাইসোসোম থাকে না।
- উদ্ভিদকোষেও লাইসোসোম আবিষ্কৃত হয়েছে যাকে Spherosome বলা হয়। এদেরকে Oleosome-ও বলা হয়।
- ঝিল্লি দ্বারা আবদ্ধ আবস্থায় এতে প্রায় ৪০ ধরনের এনজাইম থাকে
কোষের প্রকারভেদ
কাজের ভিত্তিতে কোষ দুই প্রকার:
- দেহকোষ : জীবদেহের অঙ্গ ও অঙ্গতন্ত্র গঠনকরা কোষকে দেহকোষ বলে
- জননকোষ: যৌন প্রজননের জন্য ডিপ্লয়েড জীবের জননাঙ্গে মায়োসিস প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হ্যাপ্লয়েড কোষকে জননকোষ বলে।শুক্রাণু ও ডিম্বাণু জননকোষের উদাহরণ। জননকোষ বা গ্যামিট সর্বদাই হ্যাপ্লয়েড।
নিউক্লিয়াসের গঠনের উপর ভিত্তি করে কোষ দুই প্রকার:
- আদিকোষ: নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয় এবং রাইবোসোম ছাড়া অন্য কোন কোষ অঙ্গানু থাকে না।
–আদিকোষে উঘঅ অবস্থানকারী স্থানকে নিউক্লিঅয়েড বলে।
–এদের রাইবোসোম ৭০S।
— আদি কোষ অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়।
— উদাহরণ ব্যাকটেরিয়া, সায়ানো ব্যাকটেরিয়া।
— মনেরা রাজ্যের সব জীবই আদিকোষী। - প্রকৃত কোষ: নিউক্লিয়াস সুগঠিত এবং রাইবোসোম সহ অন্য সকল কোষ অঙ্গানু থাকে।
–এদের রাইবোসোম ৮০S
— কোষ বিভাজন মাইটোসিস ও মায়োসিস প্রকৃতির।
— শৈবাল, ছত্রাক, ব্রায়োফাইটস, টেরিডোফাইটস, জিমনোস্পার্মস এবং অ্যানজিওস্পার্মস ইত্যাদি সব উদ্ভিদই প্রকৃত কোষ দিয়ে গঠিত এবং সকল প্রাণিকোষ প্রকৃত কোষ।
ঝিল্লিবদ্ধ কোষীয় অঙ্গাণু
ঝিল্লিবিহীন কোষীয় অঙ্গাণু
- মাইটোকন্ডিয়া
- এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা
- গলগি বডি
- লাইসোসোম
- পারঅক্সিসোম
- সেন্ট্রিওল
- মাইক্রোফিলামেন্ট
- ইন্টারমিডিয়েট ফিলামেন্ট
- মাইক্রোটিউবিউলস
রাইবোসোমের ঝিল্লি নিয়ে দ্বিমত আছে। তবে আধুনিক ধারনা মতে এতে পাতলা ঝিল্লি থাকে। (কোনটি ঝিল্লীবিহীন অঙ্গানু- এই প্রশ্নে অপশনে রাইবোসোম ছাড়া অন্য কোন ঝিল্লীবিহীন অঙ্গানু না থাকলে উত্তর রাইবোসোম দিতে হবে।